২। গাছের উচ্চতা ১১৬ সে. মি. কিন্তু গাছ মজবুত বিধায় ঢলে পড়ে না।
৩। ডিগ পাতা চওড়া ও গাঢ় সবুজ রঙের।
৪। ধানের শীষের মাথার দিকের দানায় ছোট শুং থাকে।
৫। চালের আকার আকৃতি লম্বা, মোটা এবং রং সাদা।
৬। ১০০০ টি পুষ্ট ধানের ওজন প্রায় ২৭.৯ গ্রাম।
৭। চালে এমাইলোজের পরিমাণ ২৬.০%।
চাষাবাদ পদ্ধতিঃ
১ । বীজ তলায় বীজ বপন
: বীজ বপনের উপযুক্ত সময় হলো ২৫ জুন থেকে ০৫ জুলাই অর্থাৎ ১১ আষাঢ় ২১ আষাঢ়ের মধ্যে।
২ । চারার বয়স
: ২০-২৫ দিন।
৩ । চারার সংখ্যা
: প্রতি গুছিতে ২/৩ টি।
৪ । রোপন দুরত্ব
: ২০ সে.মি. X ১৫ সে.মি.।
৫ । ইউরিয়া সার (কেজি/বিঘা)
: ২০
৬ । টিএসপি সার (কেজি/বিঘা)
: ৭
৭ । এমওপি সার (কেজি/বিঘা)
: ১১
৮ । জিপসাম সার (কেজি/বিঘা)
: ৮
৯ । জিংক সালফেট সার (কেজি/বিঘা)
: ১.৩
১০ । সার প্রয়োগ পদ্ধতি
: সর্বশেষ জমি চাষের সময় সবটুকু টিএসপি, জিপসাম এবং অর্ধেক এমওপি সার প্রয়োগ করা উচিত। ইউরিয়া সার সমান দুই কিস্তিতে যথা রোপনের ১০ দিন পর ১ম কিস্তি এবং ২০-২৫ দিন পর ২য় কিস্তি প্রয়োগ করতে হবে। বাকী অর্ধেক এমওপি সার শেষ কিস্তি ইউরিয়া উপরি প্রয়োগের সাথে প্রয়োগ করতে হবে। জিংকের অভাব পরিলক্ষিত হলে জিংক সালফেট এবং সালফারের অভাব পরিলক্ষিত হলে জিপসাম ইউরিয়ার মত উপরি প্রয়োগ করা যেতে পারে।
১১ । আগাছা দমন
: রোপনের পর অন্তত ৩৫-৪০ দিন পর্যন্ত জমি আগাছা মুক্ত রাখতে হবে।
১২ । সেচ ব্যবস্থাপনা
: থোড় অবস্থা থেকে দুধ অবস্থা পর্যন্ত জমিতে পর্যপ্ত রস বা পানি রাখতে হবে।
১৩ । রোগ বালাই দমন
: ব্রি ধান৭২ এ রোগ বালাই ও পোকামাকড়ের আক্রমণ প্রচলিত জাতের চেয়ে অনেক কম হয়। তবে রোগবালাই ও পোকামাকড়ের আক্রমণে সমন্বিত বালাই দমন ব্যবস্থা প্রয়োগ করা উচিত।
১৪ । ফসল পাকা ও কাটা
: ০১-৩০ নভেম্বর ধান কাটার উপযুক্ত সময়।