২। চারা অবস্থায় ১২-১৪ ডিএস/মি (৩ সপ্তাহ পর্যন্ত) এবং অংগজ বৃদ্ধি থেকে প্রজনন পর্যায় পর্যন্ত ৮ ডিএস/মি লবণাক্ততা সহ্য করতে পারে।
৩। গাছের উচ্চতা ৯৫ সেন্টিমিটার।
৪। চালের আকার মাঝারি চিকন।
৫। ১০০০ টি পুষ্ট ধানের ওজন প্রায় ২১ গ্রাম।
৬। চালে প্রোটিনের পরিমাণ ৮.৮%।
৭। চালে অ্যামাইলোজের পরিমাণ ২২%।
৮। খোলে (Leaf sheath) ও বড় তুষের (Lemma) অগ্রভাগে এনথোসায়ানিন রঙ আছে এবং গর্ভমুন্ড (Stigma) পার্পল বর্ণের।
চাষাবাদ পদ্ধতিঃ
১ । বীজ তলায় বীজ বপন
: ২-৩০ অগ্রহায়ণ (১৫ নভেম্বর থেকে ১৫ ডিসেম্বর)।
২ । চারার বয়স
: ৩৫-৪০ দিন।
৩ । চারার সংখ্যা
: প্রতি গুছিতে ২/৩ টি।
৪ । রোপন দুরত্ব
: ২৫ x ১৫ সেন্টিমিটার।
৫ । ইউরিয়া সার (কেজি/বিঘা)
: ৩৯.৫
৬ । টিএসপি সার (কেজি/বিঘা)
: ১৩.৫
৭ । এমওপি সার (কেজি/বিঘা)
: ১৬
৮ । জিপসাম সার (কেজি/বিঘা)
: ১৩.৫
৯ । জিংক সালফেট সার (কেজি/বিঘা)
: ১.৫
১০ । সার প্রয়োগ পদ্ধতি
: সর্বশেষ জমি চাষের সময় সবটুকু টিএসপি, এমওপি, জিংক সালফেট ও জিপসাম সার প্রয়োগ করা উচিত। ইউরিয়া সার সমান তিন কিস্তিতে যথা- রোপণের ১০-১৫ দিন পর ১ম কিস্তি, ৩৫-৪০ দিন পর ২য় কিস্তি এবং ৫০-৫৫ দিন পর ৩য় কিস্তি প্রয়োগ করতে হবে।
১১ । আগাছা দমন
: রোপণের পর অন্তত ৪০ দিন পর্যন্ত জমি আগাছামুক্ত রাখতে হবে।
১২ । সেচ ব্যবস্থাপনা
: থোড় অবস্থা থেকে দুধ অবস্থা পর্যন্ত জমিতে পর্যাপ্ত রস বা পানির ব্যবস্থা রাখতে হবে।
১৩ । রোগ বালাই দমন
: ব্রি ধান৬১ এ রোগবালাই ও পোকামাকড়ের আক্রমণ প্রচলিত জাতের চেয়ে অনেক কম হয়। তবে রোগবালাই ও পোকামাকড়ের আক্রমণ দেখা দিলে বালাইনাশক প্রয়োগ করা উচিত।
১৪ । ফসল পাকা ও কাটা
: ২৫ চৈত্র - ২৫ বৈশাখ (১০ এপ্রিল- ১০ মে) ধান কাটার উপযুক্ত সময়।